জিরো থেকে শুরু করে কিভাবে ইউটউবে গ্রো করবেন
এখনকার সময় অনেকেরই সখ ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর, অনেকেই চান একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে।এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এখনকার সময়ে একটা ক্যারিয়ার।Blog এর সঙ্গে সঙ্গে এখন ভিডিও blog বা vlog এর অনেক চাহিদা, তার উপর আবার সর্ট ফর্ম কন্টেন্ট যেমন টিকটক, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম রিলস, ইউটিউব সর্টস একটা ভালো ফর্ম।
তো কি করতে হবে ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ইউটিউব এ ভালো করতে?
স্টেপ ১ – প্রথম কাজ হচ্ছে শুরু করা
আর এই জায়গাটাতেই আমরা বেশিরভাগ মানুষ আটকে যাই, আমরা ভাবতে থাকি কিন্তু শুরু করতে পারিনা। সব চিন্তা বাদ দেন ৩টা ভিডিও বানান, যেকোনো বিষয়ে যা খুশি এবং আপলোড করেন। আপনার এখন যা আছে তা দিয়েই শুরু করেন। এই ব্লগ আর্টিক্যালটা পরা শেষ হলেই প্রয়োজনে আপনার ফোন দিয়েই শুরু করুন ভিডিও বানানো।
স্টেপ ২ – এবার ভালো করার পালা
এবার ৭ টা ভিডিও বানানোর ট্রাই করুন। এর জন্য আপনার যেই স্কিল গুলোর দিকে জোর দিতে হবে এবার সেগুলো হচ্ছে
- ভিডিও এডিটিং
- ভালো থাম্বনেইল (thumbnail) ইমেজ তৈরি
- ক্যামেরার সামনে কথা বলা
এবারের ৭টি ভিডিও তৈরি করার সময় এই তিনটি স্কিল লার্ন করার চেষ্টা করেন এবং এই স্কিলগুলোতে ভালো করার ট্রাই করেন।
স্টেপ ৩ – এবার স্মার্ট হওয়ার পালা
এখন যেহেতু আপনি ১০টি ভিডিও বানিয়ে ফেলেছেন এবার আপনাকে ইউটিউবে ভালো করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, বিশেষ করে ইউটিউবের এ্য্যলগরিদম ( algorithm )
- কীভাবে মানুষকে আপনার ভিডিওতে ক্লিক করাবেন
- কি করলে মানুষ আপনার ভিডিওটা আরও বেশি সময় দেখবে বা পুরোটা দেখবে
- এবং কীভাবে একজন আপনার ভিডিওটা দেখে একটা স্যাটিসফেকশন ফিল করবে, বা তার ভালো লাগবে ভিডিও দেখা শেষে।
স্টেপ ৪ – এবার আপনার পালা আপনার Niche বা উপযুক্ত জায়গাটা খুঁজে বের করা।
এটা বের করতে আপনাকে দুটো বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে
- আপনার ভিডিও কন্টেন্ট এ আপনি কি ভ্যালু ক্রিয়েট করছেন?
- কারা আপনার টার্গেট অডিয়েন্স?
ভ্যালু আপনি অনেকভাবেই প্রোভাইড করতে পারেন যেমন হতে পারে
- আপনি কিছু শিখাচ্ছেন
- আপনি মানুষকে ইন্সপায়ার বা অনুপ্রাণিত করছেন কিংবা
- আপনি মানুষকে এন্টারটেইন বা বিনোদন দিচ্ছেন
স্টেপ ৫ – এবার আপনার কাজ Stand Out করা বা ভিড়ের মধ্যে নিজের একটা কম্পেটিটিভ এজ (Competitive edge) খুঁজে বের করা।
কেন আপনি অন্যদের থেকে আলাদা কিংবা কেন মানুষ অন্য একজনের ভিডিও না দেখে আপনারটা দেখবে? কারণ মোটামুটি সব মার্কেট বা সব ধরনের সাবজেক্ট বা niche এই প্রচুর কন্টেন্ট এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আছে। সফল হতে হলে আপনার একটা স্বকীয়তা থাকতে হবে একটা কিছু স্পেশাল থাকতে হবে জেকারনে মানুষ আপনার ভিডিও দেখতে। এই স্বকীয়তা বা competitive edge আপনি তৈরি করতে পারেন
- এক্সট্রা অর্ডিনারি এডিটিং স্কিল বা স্টাইল দিয়ে
- স্টোরি টেলিং বা গল্প বলায় ভিন্ন কিছু আনতে বা নিজের একটা স্টাইল আনতে যা মানুষ পছন্দ করছে
- কিংবা ওই সাবজেক্ট ম্যাটারে অনেক ডিপ রিসার্চ করে সেই বিষয়গুলো ভিডিওতে আনতে, যেন মানুষ আপনার কন্টেন্টে এমন কিছু তথ্য পায় যা সচরাচর পায়না
সো এভাবে এই ৪টি স্টেপ ফলো করে প্ল্যানমাফিক আগালে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সফলতা আসবে। তো যদি পুরো ব্যাপারটা আবার একবার সহজ করে বলি তাহলে
প্রথম কাজ হচ্ছে শুরু করা > তারপর ভালো করার জন্য স্কিলগুলো বেটার করা > ইউটিউব এর টেকনিক্যাল দিকগুলো বোঝা > আপনার উপযুক্ত জায়গা খুঁজে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর জন্য ভ্যালু ক্রিয়েট করা > নিজের একটা স্বকীয়তা বা স্পাশালিটি তথা competitive edge তৈরি করা যার জন্য আপনি ভিড়ের মাঝেও সবার চোখে পরবেন (Stand Out)।
তো শুরু করুন আপনার শখের ইউটিউব চ্যানেল।
Responses