৫ ধরনের এনিমেশন সম্পর্কে জানুন


এনিমেশন কি ?

মানুষের বানানো যে কোন ভিজ্যুয়াল সেট যদি কোন মেশিন ( বা কম্পিউটার ) এর মাধ্যমে গতি প্রদান করা হয় ,তাই এনিমেশন । অর্থাৎ এনিমেশন মানে যার মোশন আছে।

৫ ধরনের এনিমেশন

১. ট্র্যাডিশনাল এনিমেশন (Traditional Animation)

এটাকে আপনি হয়তো 2D এনিমেশন ও বলতে পারেন ,কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি নানা ধরনের স্তর এবং 2D এনিমেশন এর মিশ্রন । এটি বর্তমান এনিমেশন এর সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি । যেখানে এনিমেটরকে প্রতিটা ফ্রেম হাতে আঁকতে হয় । ট্র্যাডিশনাল এনিমেশনে আঁকার জন্য একটি বড় লাইট টেবিল ব্যবহার করে থাকেন এনিমেটররা । যার ফলে এনিমেটর তার পূর্ববর্তী অংকনের সাথে মিলিয়ে তার পরবর্তী ফ্রেম আঁকতে পারেন । এটাকে অনিয়ন স্কিনিং (ONION SKINNIG) বলা হয় । বর্তমানে ট্র্যাডিশনাল এনিমেশন গ্রাফিক্স ট্যাব এর মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায় । এই আনিমেশনে প্রতি সেকন্ডে ১২ টি ফ্রেম ব্যবহার করা হয় । উদাহরনঃ জাপানিজ মেনগা এনিমেশন

২. 2ডি এনিমেশন (2D Animation )

এই ২ডি এনিমেশন কে ভেক্টর বেইজড এনিমেশন ও বলা হয় । বাচ্চাদের কাছে এই এনিমেশন খুবই জনপ্রিয় । এই এনিমেশন এর জন্য খুব সহজেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্যরেক্টারের প্রতিটা শারীরিক অংশ ইচ্ছামতো নাড়ানো যায় ।এই সহজ উপায়ের কারনে খুব সহজেই যাদের শুধু মাত্র বেসিক ধারনা আছে তাঁরা ও 2ডি এনিমেশন বানাতে পারেন । এই এনিমেশনেও প্রতি সেকেন্ডে সর্বনিম্ন ১২ টি ফ্রেম ব্যবহার করা হয়।

৩. 3ডি এনিমেশন (3D Animation )

3ডি এনিমেশন, যা কম্পিউটার এনিমেশন নামে ও পরিচিত বর্তমানে সবচেয়ে ব্যবহৃত এনিমেশন পদ্ধতি। এটির উপস্থাপন 2ডি এবং ট্র্যাডিশনাল এনিমেশন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন । এই পদ্ধতিতে ক্যারেক্টার মুভমেন্ট থেকে শুরু করে কম্পোজিশন ,ট্যকনিকাল স্কিল সবই খুব সুন্দর ও নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করা হয় ।3ডি এনিমেশন অনেকটা পুতুল নিয়ে খেলার মতো । এনিমেটর 3ডি প্রোগ্রামের স্পেশাল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুব সহজেই এনিমেশন এর চরিত্রকে এবং চরিত্রের যে কোন অংশকে যেকোন দিকে এবং সব দিক থেকে ইচ্ছামতো নাড়াচাড়া করাতে পারেন । তারপর প্রয়োজনিয় কি ফ্রেম দ্বারা অংশগুলুকে প্রয়োজনিয় অবস্থানে সেট করিয়ে এনেমেশন তৈরি করেন । এই এনিমেশনে কেরেক্টারের সব দিক থেকেই সকল শরীরের অংশ দেখানু যায় ,যা 2ডি আর ট্র্যাডিশনাল এনিমেশন এ এত সহজে দেখানু যায় না, কারন ঐখানে প্রতিটা ফ্রেম আলাদা আঁকতে হয় । এই এনিমেশনে প্রতি সেকেন্ডে সর্বনিম্ন ২৪ টি ফ্রেম ব্যবহার করা হয় ।

৪. মোশন গ্রাফিক্স এনিমেশন (Motion Graphics Animation)

মোশন গ্রাফিক্স অন্য সকল এনিমেশন থেকে আলাদা । এটা কোন ক্যারেক্টার বা গল্পকে সামনে রেখে তৈরি এনিমেশন না । মোশন গ্রফিক্স বিভিন্ন আর্ট , আর্টিকেল , গ্রাফিক্যাল ইলিমেন্ট এর মিশ্রন । এই ধরনের এনিমেশন সধারনত কমার্শিয়াল এবং প্রমোশন্যাল কাজে ব্যবহার করা হয় । এনিমেটেড লগো , কমার্শিয়াল এপ্লিকেশন , টিভি প্রমো এমন কি ফিল্ম ওপেনিং টাইটেল এই সবই মোশান গ্রাফিক্স এর কাজ ।

৫. স্টপ মোশন এনিমেশন ( Stop Motion Animation )

এই এনিমেশন এর সকল ক্যরেক্টার ও অবজেক্ট বাস্তব । এই এনিমেশনের প্রথম প্রক্রিয়া শুরু হয় বস্তুটির ছবি তুলার মাধ্যমে । বস্তুটিকে বিভিন্ন জায়গায় সড়িয়ে সড়িয়ে বার বার ফটু তুলা হয়। এইভাবে তৈরি হয় স্টপ মোশন এনিমেশন ।স্টপ মোশন এনিমেশন আবার কয়েক ধরনের হয় । যেমন :

ক্লেমেশন

পাপেট

কাট-আউট

পিক্সেলেশন

তো এই ছিল এনিমেশন এর বৃত্তান্ত। আপনি যদি এনিমেশন নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান এবং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে রেজিস্ট্রেশন করুন নিচের ফরমটি।

Related Articles

ক্লায়েন্ট এপ্রোচ থেকে ডিল ক্লোজিং: স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

ক্লায়েন্ট এপ্রোচ করার সঠিক পদ্ধতি যেকোনো ব্যবসার সফলতার মূল চাবিকাঠি। একজন ক্লায়েন্টকে দক্ষভাবে এপ্রোচ করতে পারা মানে শুধুমাত্র একটি প্রজেক্ট জেতা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদী…

বিভিন্ন প্যারেন্টিং স্টাইল: হেলিকপ্টার থেকে ফ্রি-রেঞ্জ পর্যন্ত

শিশুরা পৃথিবীতে আসার পর থেকেই তাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে এবং তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা অর্জনে সাহায্য করার জন্য অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিহার্য। প্যারেন্টিং স্টাইল বা…

১০ উপায়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করুন বাসায় বসেই

Covid-19 রোগের কারণে আমরা অনেকেই বর্তমানে বাসা থেকে অফিস করার এক্সপেরিয়েন্স পেয়েছি। এতে একদিকে যেমন প্রতিদিনের যানজট এড়ানো গিয়েছে তেমনি পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথেও আমাদের…

মোশন গ্রাফিক্সে সফল ক্যারিয়ার গড়ার ১৫ টি টিপস

সম্ভবত ‘মোশন গ্রাফিক্স’ বাংলাদেশের জন্য অন্যতম একটি সেক্টর যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টের পাশাপাশি বাংলাদেশও কাজের বড় ক্ষেত্র রয়েছে। কারণ ছোট বড় যেকোনো প্রতিষ্ঠানেরই প্রোমোশন করতে হয়।…

Responses

Your email address will not be published. Required fields are marked *