মোশন গ্রাফিক্সে সফল ক্যারিয়ার গড়ার ১৫ টি টিপস
সম্ভবত ‘মোশন গ্রাফিক্স’ বাংলাদেশের জন্য অন্যতম একটি সেক্টর যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টের পাশাপাশি বাংলাদেশও কাজের বড় ক্ষেত্র রয়েছে। কারণ ছোট বড় যেকোনো প্রতিষ্ঠানেরই প্রোমোশন করতে হয়। আর স্ট্যাটিক ক্রিয়েটিভ পোস্ট এনগেইজমেন্ট এর চাইতে ৩০ সেকেন্ডের প্রোমোশনাল ভিডিওতে অনেক বেশী ইনফরমেশন যেরকম তুলে আনা যায়, তেমনি অডিয়েন্সরা ভিডিও দেখে, ভয়েজ ওভার শুনে, তার সেই পণ্য বা সার্ভিসটি কেন নেওয়া উচিত, সেই ‘ম্যাসেজটি’ আরো ভালোভাবে মাথায় নিতে পারে ও মনে রাখতে পারে।
আর তাই বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে দিন দিন উদ্যোক্তা যেরকম বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে প্রোমোশনাল ভিডিও বানানোর চাহিদা।
তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে যে আপনি যে ইফোর্ট দিয়ে পোর্টফোলিও গুছিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের জন্য সময় দিয়ে কাজ অনবোর্ড করার চেষ্টা করছেন, তার অনেক কম সময় ও ইফোর্ট দিয়ে দেশেই লোকাল ক্লায়েন্ট বা জব অফার পেয়ে যেতে পারেন।
উদাহরণ হিসাবে বললে, আমাদের ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এনিমেশন স্টুডিও EndingScene Ltd. এখন পর্যন্ত ৩০০+ দেশী বিদেশি ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করেছে। আর এই ৩০০+ ক্লায়েন্টের মধ্যে আমরা দেশের বাহিরের ক্লায়েন্টের জন্য খুব কম কাজ করেছি। এরপরও কিন্তু বিজনেস শুরু প্রথম বছরেই আমাদের রেভিন্যু কোটি টাকা ক্রস করেছিল। আমাদের এনিমেটেড ভিডিও বেশ কয়েকবারই স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্ভোদন করেছেন।
চান্সে নিজেদের এনিমেশন স্টুডিও প্রোমোশন করলাম এই কারণে যেন আপনারা বুঝেন বাংলাদেশেই মোশন গ্রাফিক্সে ক্যারিয়ার অপরচুনিটি ঠিক কতটা রয়েছে।
আর এর পিছনে মূল কারণ হচ্ছে দেশে এই সেক্টরে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ট্যালেন্ট এখনো সেভাবে নেই। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে আপনি মোশন গ্রাফিক্সের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আর একবার যখন স্কিল গড়ে ফেলার প্রসেস শুরু করে দিবেন তখন নিজের পোর্টফোলিও, লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্ট খোজার কাজটাও শুরু করে দিতে পারেন।
এই ভিডিওতে আমরা ১৫টি টিপস দিব যা ফলো করলে আপনার মোশন গ্রাফিক্স ক্যারিয়ার এর জার্নি আরো সহজ হয়ে যেতে পারে।
নিজের নাম বা ভেবে-চিন্তে একটা ব্র্যান্ড নেম ক্রিয়েট করুন। এরপর খাতা কলম খুলে মোশন গ্রাফিক্স এর কি কি সার্ভিস দিবেন, যেমন লোগো এনিমেশন, ক্যারেক্টার রিগিং, ব্যাকগ্রাউন্ড এনিমেশন বা GIF Animation… সেগুলো লিস্ট ডাউন করুন।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজের ওয়েবসাইট করতেই হবে বিষয়টা তা না। তবে থাকলে ভালো। আর এর জন্য যেকোনো CMS বা ওয়ার্ডপ্রেসে সাইট বানানো আসলে নন-কোডারদের জন্য অনেক সহজ। এরপর জাস্ট প্রতিটি প্রোজেক্ট এর লিংক, নিচে কনট্যাক্ট ফর্ম দিয়ে দিন, যেন কোন প্রসপেক্টিভ ক্লায়েন্ট আপনার ওয়েবসাইটে কাজ দেখে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে ও নিজের সময় ও সুযোগ বুঝে অনলাইনে মিটিং সেট করে ফেলতে পারে।
Behance, Dribble এর মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মে ফ্রিতে একাউন্ট তৌরি করে নিজের মোশন গ্রাফিক্স পোর্টফোলিও ব্রেকডাউন করে শোকেইসিং করুন।
নিজের একটা ফেইসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল ও লিংকডইন একাউন্ট খুলে সেখানে আপনার কাজের ভিডিও আপলোড করুন ও কমেন্টে ড্রিবল, ও বিহেন্স বা ওয়েবসাইট লিংক শেয়ার করে দিন।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার.কম এর মতো মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৌরি করে নিজের সময় ও সুযোগ বুঝে বিড করুন বা গিগ বানিয়ে রাখুন। আপনার গিগ দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে ম্যাসেজ দিলে দ্রুত রেসপন্স করুন, আর কাজের বিস্তারিত জেনে বুঝে, কেন আপনি তার কাজটার জন্য পার্ফেক্ট ও গুছিয়ে ডেডলাইনের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দিতে পারবেন – তা প্রোপারলি কমিউনিকেট করুন।
কাজ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওভার বা আন্ডার প্রমেজ করার দরকার নেই। জাস্ট যতটুকু, যেভাবে, যে ডেডলাইনে শেষ করতে পারবেন সেটাই ক্লায়েন্ট এর সাথে কমিউনিকেট করুন। প্রোজেক্ট নিয়ে কোন ইস্যু ফেইস করলে সেটা ক্লায়েন্ট এর সাথে শেয়ার করুন। উট পাখির মতো প্রবলেম দেখলেই মোবাইল ফোন, নেট থেকে ডিসকাউন্ট খেয়ে সুইসাইড এটাম্পট নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ক্যারিয়ারের প্রথম ১-৩ বছর অনেক অনেক ভুল করবেন। এসব ভুলই আপনাকে প্রোফেশনাল বানিয়ে দিবে। সো ওভার থিংকিং না করে যেকোন ইস্যু ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেট করুন।
অন্তত ১ বছর কাজের এক্সপেরিয়েন্স হবার পর পার্সোনাল নেটওয়ার্কিং বিল্ডিং এ জোর দিন। এর আগে করার চেষ্টা করলে আপনার অতি উৎসাহী পাগলা মন ও ভুং ভাং কাজের পোর্টফলিও দেখে আপনাকে ‘আনপ্রোফেশনাল’ ভাবতে পারে। আর কাজ যদি দিয়েও দেয় আপনার নেগোশিয়েশন স্কিলের অভাবে ‘এখন ২০০ টাকা দিয়ে করে দিন, পরে কোটি টাকার কাজ দিবানি’ সিনড্রোমে ঢুকে যাবেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে নেটওয়ার্কিং করবেন কাদের সাথে?
প্রথমত যারা কিনা নতুন উদ্যোক্তা তাদের প্রমোশনাল ভিডিও বানানোর প্রয়োজন হয়। তাদেরকে খুঁজে পেতে পারেন বিভিন্ন সোশ্যাল গ্রুপ বা লিংকডইনে।
দ্বিতীয়ত এজিন্সি বিজনেসের সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে খুঁজে বের করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্সনাল প্রোফাইল থেকে কানেক্টেড হতে পারেন। এরপর আপনি কাজের পোর্টফলিও যখন শেয়ার করবেন তখন হয়তো তাদের কারো কারো চোখে পরে আপনাকে ম্যাসেজও করতে পারে। প্রয়োজনে আপনিও বিনয়ের সাথে সময় বুঝে নক করে আপনার তাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন।
নতুন নতুন কাজ শেখার ২ বছর পর ২০১৫ সালে আমি এরকম বেশ কিছু এজেন্সির ফেইসবুক পেইজে সরাসরি ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলাম। আর তাদের মধ্যে থেকে বাংলাদেশের প্রথম সারির ২টি এজেন্সির একদম ম্যানেজমেন্ট আমার ম্যাসেজ পজিটিভলি নিয়ে তাদের অফিসে মিটিং করার সুযোগ দিয়েছিল।
তাই নেটওয়ার্কিং মাস্ট কাজ দিবে, তবে নিজেকে একটু ভালোভাবে প্রস্তুত করে তারপর মাঠে নামাটা অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দেশীয় ক্লায়েন্টের কাজ ‘মুখে মুখে’ বা ‘ফোনে ফোনে’ কনফার্মেশন না নিয়ে ক্লায়েন্টের সাইন করা ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ বা পারচেইজ অর্ডার নিন। এতে কাজ শেষে টাকা উদ্ধার করতে খুব বেশী হিমশিম খেতে হবে না।
ক্যারিয়ারের ১-২ বছরে ভালো কাজের পোর্টফলিও একটু ভারি হয়ে গেলে ২০% থেকে ৫০% এডভান্স নেওয়ার প্র্যাক্টিস গড়ুন।
ক্লায়েন্টের কাছে এডভান্স চেয়েছেন কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট নেই। ভাবছেন বিকাশ, নগদ বা ক্যাশ পেমেন্ট নিয়ে নিবেন, ক্লায়েন্ট আপনার বাসায় এসে জোর করে টাকার বান্ডেল হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলবে ‘আরে ভাই এটা রাখেন’, আর আপনিও ‘না না থাক.. আমি টাকার জন্য কাজ করি না’ বলবেন… স্বপ্নের রাজ্যে বাস করছেন ভাই! ঘুম থেকে উঠুন! বিদেশী ক্লায়েন্ট বা মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য পেওনিয়ার বা ওয়াইজের মতো প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে একাাউন্ট খুলুন। সেখান থেকে এডভান্স পেমেন্ট বা কাজ শেষে ‘পেমেন্ট রিকোয়েস্ট’ পঠান। আর দেশীয় ক্লায়েন্টের জন্য নিকটস্থ কয়েকটা ব্যাংকে যেয়ে একাউন্ট রিলেটেড সুবিধা-অসুবিধা জেনে বুঝে নিজের বা প্রতিষ্ঠানের নামে ‘কারেন্ট বা সেভিংস’ একাউন্ট খুলুন।
নিজের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আপনার NID, Passport বা স্টুডেন্ট কার্ডই হয়তো যথেষ্ট হবে।
পার্সোনাল নামে ব্যাংক একাউন্ট না খুলে নিজ প্রতিষ্ঠান এর নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইলে, ব্যাাংক কর্তৃপক্ষ যদি অনান্য কাগজপত্র চায়, সেক্ষেত্রে আপনার খাতা কলমে লেখা ব্র্যান্ড নাম আবার সাবমিট কইরেন না। প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হলে আপনার টিন সার্টিফিকেট, প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ট্রেড লাইসেন্স, বিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন আছে।
আর নিজ প্রতিষ্ঠান এর ব্যাংক একাউন্ট খোলার পাাশাপাশি বড় প্রতিষ্ঠান, NGO বা গভর্মেন্ট প্রোজেক্টের কাজ পেতে ক্যারিয়ারের শুরুতেই টিন সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স, বিন সার্টিফিকেট করে ফেলা ভালো। কারণ অনেক NGO ও সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে যারা ট্রেড লাইসেন্সে বয়স ৫ বছর না হলে আপনার কাজের প্রপোজাল খুলেই দেখবে না। এবার আপনি যতই ভালো কাজ করেন না কেন।
তাই এই ডকুমেন্টস রেডি করতে যত অবহেলা করবেন বড় কাজ ও ভালো বাজেটের প্রোজেক্ট পেতে ততো লেইট হবে। আর ততোদিনই ছোট বাজেটের লোকাল ক্লায়েন্টের সাথে মারামারি করে যেতে হবে। ফেইসবুকে এসে পোস্ট দিয়ে নদীর পাড়ে বসে কান্নাকাটি করতে হবে।
প্রতিটি প্রোজেক্ট শেষ হবার পর সব ক্রিয়েটিভ এসেট এক ফোল্ডারে আর্কাইভ করুন। প্রয়োজনে Zip করে পিসিতে গুছিয়ে রাখার পাশাপাশি গুগল ড্রাইভ, ড্রপ বক্স এর মতো ক্লাউড একাউন্টে রেখে দিন। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন যেন পেইড ক্লাউড সার্ভিসের পেমেন্ট না দিতে পারলে ফাইল আবার একসময় ক্লাউড থেকে হারিয়ে না যায়!
সবগুলো টিপসের মধ্যে সবচাইতে ইম্পরেন্ট হচ্ছে ‘ফোকাস’। আপনি হয়তো মোশন গ্রাফিক্সের অনেক ব্রাঞ্চে স্কিল ডেভলপ করে কাজ করার এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে। তবে ক্যারিয়ারে ‘স্পেশালিস্ট’ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে সাফল্য অর্জন করতে যেকোন একটা সেগেমেন্টে দীর্ঘদিন লেগে থাকুন, পৃথিবী আপনাকে সেই একটা বিষয়ের স্পেশালিস্ট হিসাবেই মনে রাখবে।
যেমন ধরুন আপনি ১-২ বছর কাজ করার পর বুঝতে পারলেন আপনার লোগো এনিমেশন বেশ ভালো হয়, বা UI/UX এর এনিমেশন বেশী জোসস হয় আর আপনি করে মজাও পান। তাহলে মোশন গ্রাফিক্সের বাকি সব কাজ একপাশে রেখে শুধুমাত্র UI/UX অ্যানিমেশনে ফোকাসড হন।
স্কিল ডেভলপমেন্টের পর অনেক সময় ‘অন্যায় আবদার’ আসতে পারে, হুট-হাট জব অফার আসতে পারে। কোনো জবে জয়েন করার মাস দুয়েকের মধ্যে ডাবল স্যালারিতে নতুন কাজ বা জবের অফার আসতে পারে। কেউ হয়তো ফ্রিতে কাজ করিয়েও নিতে চাইতে পারে। করবেন না যে তা না, তবে যদি মন সায় না দেয় তবে সুন্দর ভাবে নমনীয়তার সাথে সম্পর্ক খুব ভালো রেখে ‘না’ বলতে শিখুন। আর কোথায়, কোনো জবে ঢুকলে অন্তত ১ বছর আর ডানে-বায়ে না তাকিয়ে যেখানে জয়েন করেছেন, মন দিয়ে করুন।
যদি নতুন কোন জব অফার বা ফ্রিল্যান্স প্রোজেক্ট বা কনসালটেন্সি ইগনোর করতে একেবারেই মন সায় না দেয়, সেক্ষেত্রে আপনার কারেন্ট এমপ্লয়ারের সাথে মন খুলে ডিসকাশন করুন। তবে ভুলেও মিথ্যা বা তথ্য গোপনের আশ্রয় নিবেন না। মনে রাখবেন, আপনার এমপ্লয়ার আপনার চাইতেও অভিজ্ঞ, তাই একবার যদি আপনার মিথ্যা ধরতে পারে, তাহলে সেটা আপনার জন্যই লজ্জাজনক হবে। তাই মনে সাহস নিয়ে সবসময়ই সত্যে কথাটা অকপটে নমনীয় হয়ে শেয়ার করুন।
সবশেষ টিপস যেহতু এটা তাই সবসময় মাথায় রাখবেন। যেহেতু বাংলাদেশের মার্কেটে মোশন ডিজাইনার খুব কম আছে। একটু-আধটু শেখার পর থেকেই দেখবেন শইলে জোসস আসা শুরু হইছে। ১-২ বছর যাওয়ার পর মনে হয়তো ইগো তৈরি হবে, অন্য কারো ভালো কাজ দেখলে হিংসা তৈরি হবে। উল্টা-পাল্টা ফেইসবুক ‘স্ট্যটাস’ দিতে মন চাইবে। আরো ভালো প্রোজেক্টে কাজ করার একটা অদম্য আকাঙ্ক্ষা তৈরি হতে পারে। মনে মনে “দেহাইয়া দিমু!” ভাবস তৈরি হবে। আর এসব করে আপনি নিজেই আপনার ক্যারিয়ারে পিছয়ে যাবেন। দুইদিন পর পর হতাশায় ভুগবেন। কাছের পরিচিত কমিউনিটির ভাই-ব্রাদার আপনার ইগো আর শো-অফে হয়তো দূরে চলে যাবে। আপনি দিন রাত মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে আরো ইগোইস্টিক হয়ে যেতে পারেন।
…তাই সিম্পলি ‘অহংকারি ও লোভি’ হওয়া যাবে না। কমিউনিটির বড় বা ছোট ভাইদের কাজ দেখে মন থেকে ভালোবাসা জানাতে হবে। একসাথে বড় প্রোজেক্টে সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করার মনমানসিকতা তৈরি করতে হবে। নতুন কিছু শিখলে সেটা সবার সাথে শেয়ার করতে হবে। যদি কেউ আপনার এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য আটকে গেলে হেল্প চায় তাকে মন থেকে হেল্প করতে হবে।
মনে রাখবেন ‘কুয়ার ব্যাঙ, কুয়াটাকেই তার পৃথিবী ভেবে থাকে।’ তবে পৃথিবী কিন্তু অনেক অনেক বড়. তাই ডোন্ট বি অ্যা কুয়ার ব্যাঙ! 🙂
উপরের এই ১৫টি টিপস এর ডিটেইল ব্রেকডাউন আমাদের ‘মোশন গ্রাফিক্স – অ্যানিমেটেড ভিডিও বানানোর কোর্স’ এর শেষের সেকশনে বিস্তারিত ভাবে আছে। কিভাবে ওয়েবসাইট বানাবেন, কিভাবে সোশ্যাল সাইট ম্যানটেইন করবেন বা বিজনেসের জন্য ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, বিন সার্টিফিকেট বানাবেন। বা পেওনিয়ারে একাউন্ট খুলে ট্রানজেকশন করবেন… যারা এখনো এই কোর্স বা ৩ মাসের মোশন গ্রাফিক্স বুটক্যাম্প সাবস্ক্রাইব করেন নাই, তারা এখনি সাবস্ক্রাইব করে অ্যানিমেশন স্টুডিওতে নিশ্চিত ইন্টার্ণশিপ অফার লুফে নিন!
আর হ্যাঁ এরকম পোষ্ট পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনে ক্লিক করে দিন।
Responses